মূল বিষয়ে যান
  1. সর্বশেষ খবর/

মেট্রো রেলের কমলাপুর সম্প্রসারণ: প্রতীক্ষার প্রহর কি আরও দীর্ঘ হবে?

ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা মেট্রোরেল দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু এর কিছু অংশ নিয়ে নতুন করে দেখা দিয়েছে সংশয়। বিশেষ করে, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.১৬ কিলোমিটার সম্প্রসারিত অংশের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা যাত্রীদের মাঝে কিছুটা হতাশার সৃষ্টি করেছে।


উদ্বোধনের সময়সীমা ও বর্তমান পরিস্থিতি
#

২০১৬ সালের ২৬ জুন মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর উদ্বোধন হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের। সেই সময় থেকেই বারবার বলা হচ্ছিল যে, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কমলাপুরের অংশ চালু হবে

কিন্তু বর্তমান চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এই সম্প্রসারিত ১.১৬ কিলোমিটার পথ চালু করা সম্ভব হবে। তার সময়কালে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পথের অগ্রগতি ছিল ২৫ শতাংশ। প্রায় দেড় বছর পর, সেই অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশে, তাও শুধু ভৌত অবকাঠামোর কাজ।


ধীরগতির কারণ: ঠিকাদার নিয়োগে জটিলতা ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধি
#

মতিঝিল-কমলাপুর অংশে দুটি প্যাকেজে কাজ চলছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সিভিল ওয়ার্ক ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, এবং এই কাজটি এখনো চলমান।

তবে, সবচেয়ে বড় জটিলতা দেখা দিয়েছে ইলেকট্রোমেকানিক্যাল কাজ নিয়ে। এই জটিলতার মূল কারণ হলো ঠিকাদার নিয়োগে সমস্যা। জানা গেছে, জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত দর থেকে উচ্চমূল্যে টেন্ডার দাখিল করেছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির বর্তমান বাজারে এই কাজটি কীভাবে করানো হবে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ দ্বিধায় রয়েছে এবং আপাতত এ অংশের কাজ বন্ধ রয়েছে

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পথের কাজ শেষ হতে আরও প্রায় দেড় বছর সময় লাগবে। এর অর্থ হলো, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর পর চালু হবে মতিঝিল-কমলাপুর অংশের পরিষেবা। এটি যাত্রীদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।


ভবিষ্যৎ展望: কবে মিলবে পূর্ণাঙ্গ মেট্রোরেলের সুবিধা?
#

মেট্রোরেল দেশের উন্নয়নের প্রতীক। এটি যানজট নিরসনে এবং আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে, এই ধীরগতি প্রকল্পের সামগ্রিক সময়সীমার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আশা করা যায়, ডিএমটিসিএল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে, যাতে দেশের জনগণ দ্রুততম সময়ে পূর্ণাঙ্গ মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করতে পারে।

কমলাপুর সম্প্রসারণে এই বিলম্ব নিয়ে আপনার কী মতামত? আপনি কি মনে করেন যে এটি মেট্রোরেলের সামগ্রিক উপযোগিতাকে প্রভাবিত করবে?