মূল বিষয়ে যান
  1. সর্বশেষ খবর/

মেট্রো রেলে আসছে ইউনিভার্সেল টিকিট: ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে ভাড়া পরিশোধের নতুন দিগন্ত!

ঢাকা মেট্রো রেল যাত্রীদের জন্য সুখবর! টিকিট কেনার ঝামেলা কমাতে এবং পরিশোধ পদ্ধতিকে আরও আধুনিক করতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে। খুব শিগগিরই চালু হচ্ছে ‘ইউনিভার্সেল টিকিটিং সিস্টেম’ (ইউটিএস), যা আপনার মেট্রো রেল যাত্রাকে করে তুলবে আরও সহজ এবং প্রযুক্তি-নির্ভর।

ইউটিএস: টিকিটবিহীন যাত্রার পথে এক ধাপ!
#

নতুন এই ব্যবস্থায় যাত্রীরা সরাসরি তাদের ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। কার্ড পাঞ্চ করলেই ভাড়া কাটা যাবে, যা প্রচলিত টিকিট কাউন্টারে লাইন দেওয়ার ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেবে। শুধু তাই নয়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও একক যাত্রার টিকিট কেনা যাবে, যা ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত যাত্রীদের জন্য একটি দারুণ সুবিধা।

কবে আসছে এই নতুন ব্যবস্থা?
#

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইউটিএস চালুর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন, সফটওয়্যার ইনস্টলেশনসহ সব কাজ শেষ হতে প্রায় ছয় মাস সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা বর্তমানে ব্যবহৃত র‍্যাপিড পাস, এমআরটি পাস এবং একক যাত্রার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

কীভাবে এগোচ্ছে কাজ?
#

এই অত্যাধুনিক সিস্টেম চালুর জন্য গত ২৮ এপ্রিল সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) দরপত্র আহ্বান করেছিল। এতে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বর্তমানে তাদের কাছ থেকে কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হচ্ছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিএমটিসিএল এই প্রকল্পে সরাসরি কোনো আর্থিক বিনিয়োগ করছে না। বরং, নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের খরচে যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার স্থাপন করবে এবং লেনদেন পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। টিকিট বিক্রির আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ চুক্তি অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে।

বর্তমান সংকট ও ভবিষ্যৎ সমাধান
#

এদিকে, বর্তমানে এমআরটি পাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ডিএমটিসিএল। এর পরিবর্তে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) র‍্যাপিড পাস সরবরাহ করছে, তবে চাহিদার তুলনায় কার্ডের যোগান কম থাকায় যাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, অনেক যাত্রীর একক টিকিট কার্ড মাঝপথেই অচল হয়ে পড়ায় ভোগান্তি বাড়ছে।

ডিএমটিসিএল আশা করছে, ইউনিভার্সেল টিকিটিং সিস্টেম চালু হলে যাত্রীদের টিকিট সংক্রান্ত এসব ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। এটি ভাড়া পরিশোধের প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং প্রযুক্তি-নির্ভর করবে, যা সামগ্রিকভাবে মেট্রো রেল যাত্রার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে।

সূত্র: সংবাদমাধ্যম